You are reading tafsir of 7 ayahs: 72:18 to 72:24.
১৮-২৪ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা সকল ইবাদত পাওয়ার যোগ্য এবং তিনিই হিদায়াতদাতা, কোন নৈকট্যশীল ফেরেশতা বা নাবী রাসূলগণ নন। নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চাওয়া-পাওয়া, আরাধনা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার কাছেই ছিল, তিনি এক আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত করতেন, তাঁর সাথে কাউকে শরীক করতেন না এবং তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কোন ভাল-মন্দের মালিকও নন। এ কথাটিই এখানে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় প্রস্ফুটিত হয়েছে।
মাসজিদ অর্থ : সিজদা দেওয়ার জায়গা। সিজদা সালাতের অন্যতম একটি রুকন। এজন্য সালাত আদায়ের স্থানকে মাসজিদ বলা হয়। আয়াতের উদ্দেশ্য হল কোন প্রকার সিজদা আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া আর কারো জন্য করা যাবে না এবং কোন প্রকার দু‘আ, কিছু চাওয়ার জন্য দু‘আ (دعاء مسئلة) হোক বা অন্য কোন দু‘আ হোক সকল প্রকার দু‘আ প্রাপ্যের মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা। সালাত যেমন একটি ইবাদত তেমনি দু‘আও একটি ইবাদত। তাই সিজদা তথা সালাতের সাথে দু‘আকে একত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। সুতরাং সব ইবাদত একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার জন্য করব। কবরে শায়িত ব্যক্তি, পীর, ওলী-আওলিয়া ইত্যাদি কোন ব্যক্তিই ইবাদত পাওয়ার হকদার না, সে যত বড়ই হোক না কেন।
عَبْدُ اللہِ দ্বারা নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বুঝোনো হয়েছে। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন : যখন জিনেরা নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কুরআন তেলাওয়াত করতে শুনলো তখন তারা হাঁটু গেঁড়ে বসে গেল মনযোগসহকারে তেলাওয়াত শোনার জন্য। এ খবর নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জানতেন না, জিবরীল (রাঃ) এসে জানিয়ে দিলেন।
(لَآ أَمْلِكُ لَكُمْ ضَرًّا وَّلَا رَشَدًا)
অর্থাৎ নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাউকে হিদায়াত দিতে পারেন না এবং পথভ্রষ্ট করতে পারেন না। তিনি কেবল আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে প্রাপ্ত রিসালাত পৌঁছে দেন। আল্লাহ তা‘আলা যাকে চান তাকেই হিদায়াত দিতে পারেন। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
(إِنَّكَ لَا تَهْدِيْ مَنْ أَحْبَبْتَ وَلٰكِنَّ اللّٰهَ يَهْدِيْ مَنْ يَّشَا۬ءُ ج وَهُوَ أَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِيْنَ)
“তুমি যাকে ভালবাস, ইচ্ছা করলেই তাকে সৎপথে আনতে পারবে না। তবে আল্লাহই যাকে ইচ্ছা সৎপথে আনয়ন করেন এবং সৎপথ অনুসারীদের সম্পর্কে তিনিই ভাল জানেন।” (সূরা কাসাস ২৮ : ৫৬)
রিসালাতের বাণী কারো নিকট পৌঁছার পরেও যদি সে আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলের অবাধ্য হয় তাহলে তার জন্য আখিরাতে রয়েছে জাহান্নাম।
(إِذَا رَأَوْا مَا يُوْعَدُوْنَ)
অর্থাৎ ঐ সব মুশরিক মানুষ ও জিনেরা যখন কিয়ামতের দিনে পূর্ব প্রতিশ্র“তি অনুযায়ী শাস্তি দেখতে পাবে তখন জানতে পারবে কারা সাহায্যকারী হিসাবে ও সংখ্যায় অতি দুর্বল।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. ইবাদত করতে হবে একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার জন্য।
২. সিজদা সালাতের অন্যতম একটি রুকন, তা করতে হবে একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার জন্য। কোন মাযার বা খানকাতে না এবং পীর-মুরশিদের পায়েও না।
৩. হিদায়াতের মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা, তাই আমাদের উচিত তাঁর কাছেই হিদায়াত চাওয়া।
QUL supports exporting tafsir content in both JSON and SQLite formats.
Tafsir text may include <html> tags for formatting such as <b>,
<i>, etc.
Note:
Tafsir content may span multiple ayahs. QUL exports both the tafsir text and the ayahs it applies to.
Example JSON Format:
{
"2:3": {
"text": "tafisr text.",
"ayah_keys": ["2:3", "2:4"]
},
"2:4": "2:3"
}
"ayah_key" in "surah:ayah", e.g. "2:3" means
3rd ayah of Surah Al-Baqarah.
text: the tafsir content (can include HTML)ayah_keys: an array of ayah keys this tafsir applies toayah_key where the tafsir text can be found.
ayah_key: the ayah for which this record applies.group_ayah_key: the ayah key that contains the main tafsir text (used for shared tafsir).
from_ayah / to_ayah: start and end ayah keys for convenience (optional).ayah_keys: comma-separated list of all ayah keys that this tafsir covers.text: tafsir text. If blank, use the text from the group_ayah_key.